ব্রেকিং নিউজ
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম, অস্বস্তি মাছ মাংসের বাজার বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট আসিমের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে, স্বজনদের আহাজারি রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন বিদায়ী শ্রেষ্ট শিক্ষিকা লিপিকা দস্তিদারের অবসরে যাওয়ায় বিদায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান ছেলে পর এবার কন্যা সন্তানের মা হলেন পরীমনি পাইকগাছা শাখার বাস মালিক সমিতি'র আহবায়ক কমিটি গঠন
×

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৬/১১/২০২৩, ২:১১:২১ PM

বলদা বিলে জাল-পলো নিয়ে হাইত উৎসবে মাতলেন হাজারও মাছ শিকারি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বলদা বিলে জাল-পলো নিয়ে হাইত উৎসবে মাতলেন হাজারও মাছ শিকারি। রোববার (৫ নভেম্বর) উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বলদা বিলে মাছ ধরার এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিলটি ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল এ দুই উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বলদা বিলে জাল-পলো নিয়ে হাইত উৎসবে মাতলেন হাজারও মাছ শিকারি। রোববার (৫ নভেম্বর) উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার বলদা বিলে মাছ ধরার এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিলটি ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল এ দুই উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত।স্থানীয় সূত্র জানায়, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাইত উৎসবের খবর। উৎসবের আগের রাতেই বিল এলাকার আশেপাশে অবস্থান নেন হাজার হাজার শৌখিন মাছ শিকারি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের ঢল নামে বলদা বিলে। ভোর থেকেই ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও গৌরীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এসে জড়ো হন বিল পাড়ে। কারও হাতে পলো, কারও হাতে জাল। সবার গন্তব্য বিল।

স্থানীয়রা জানান, তিন থেকে চার বছর আগে এ বলদা বিলে হয়েছিল হাউক (হাইত) উৎসব। পরে কয়েকবছর ধরে আর হয়নি এ উৎসব। সেই আক্ষেপ পূরণ হয়েছে ঈশ্বরগঞ্জবাসীর। ‘হাইত’ উৎসবে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

তাদের মধ্যে অনেকেই জীবনে প্রথমবারের মতো জাল নিয়ে মাছ ধরতে নামেন। গ্রামীণ মাছ ধরার উৎসব দিনদিন কমে আসায় এ উৎসব দেখতে ভিড় করেন বিভিন্ন এলাকার উৎসুক মানুষও। মাছ ধরা দেখে আনন্দ পান অনেকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে মাছ শিকারের উৎসব।

নান্দাইল উপজেলা থেকে আসা বৃদ্ধ কাঞ্চন মিয়া ও গৌরীপুর থেকে আসা আরেক বৃদ্ধ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আগে হাউক উৎসবে অনেক মাছ ধরা পড়তো। এবার এসে তেমন মাছ পাইনি। তবে সবার সঙ্গে মাছ ধরতে বিলে নেমে ভালো লাগছে। এতেই আমরা খুশি।’

জীবনে প্রথমবার হাইত উৎসবে আসা ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের শরিফ উদ্দিন ও রায়হান আহমেদ বাবু বলেন, ‘আমরা জীবনের প্রথম এবার হাউক উৎসবে এসেছি। মোটামুটি মাছ পেয়েছি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী পাইনি।’

তারা বলেন, ‘আগে বাপ-দাদার মুখ থেকে শুধু হাউক দিয়ে মাছ শিকারের গল্প শুনতাম। কিন্তু এবার বাস্তবে এসেছি মাছ ধরতে। মাছ কম পেলেও এমন উৎসবে এসে খুব ভালো লাগছে।’

মাছ শিকারি রফিকুল ইসলাম ও এমদাদুল হক বলেন, ‘মোটামুটি ভালো মাছ ধরেছি। বোয়াল, রুই, কাতলা ও শোল মাছ পেয়েছি। এছাড়া যারা ঠেলা জাল ও টানা জাল নিয়ে এসেছেন তারা প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করেছেন।’

এ বিষয়ে মাইজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিলুপ্তপ্রায় এ উৎসব ঘিরে মানুষের মাঝে বাড়তি আগ্রহ দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকেও অনেক মাছ শিকারিরা এসেছেন। সবমিলিয়ে ভালো একটি দিন কেটেছে মাইজবাগ ইউনিয়ন তথা পুরো ঈশ্বরগঞ্জবাসীর।